সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকার মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জামপুর ইউনিয়নের বস্তল উওরপাড়া জামে মসজিদ এর সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী আমানুল্লাহর বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ও মিথ্যা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী আমানুল্লাহ। মঙ্গলবার সকালে তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনে বস্তল উওরপাড়া জামে মসজিদ এর বর্তমান সভাপতি আলমাছ মিয়া, সহ সভাপতি শাহজাহান ভুঁইয়া, ওই গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। সংবাদ সম্মেলনে টাকা আত্মাসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে এ সময় মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি ব্যবসায়ী আমানুল্লাহ বলেন আমি বস্তল উওরপাড়া জামে মসজিদ এর দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ সভাপতির দায়িত্ব সুস্থভাবে পরিচালনা করে এসেছি। এই এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য ও সামাজিক ভাবে সালিশী বিচার করে থাকি । ২০২০ সালের রমজান মাসের পর আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকার কারণে মসজিদের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নেই। সে সময় কিছুদিন পরে মসজিদ কমিটি পুণরায় গঠন করা হয় এবং আমার থেকে মসজিদ কমিটি মসজিদের সমস্ত হিসাব নিকাশ ও ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বুঝিয়া দেই। আমার কাছে মসজিদের একটি টাকাও নেই। আমি সবকিছু বুঝিয়ে দেই এবং এইভাবে মসজিদ কমিটি সুন্দর ভাবে মসজিদ পরিচালনা করছে এবং স্থানীয় বিমল বিশ্বাস ও কমল বিশ্বাসের ৪৭ শতাংশ জমি দখল করে একি এলাকার জামাউদ্দিনের ছেলে মামুন, ও রঞ্জু মিয়া সহ একটি সিন্ডিকেটের দল ও জমি কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়। আমি এলাকার সালিশী পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য হিসেবে বিচার দাবী করেন বিমল বিশ্বাস পরে এ বিষয়টি নিয়ে বিমল বিশ্বাস কে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিলে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে এর কয়েকদিন পরে আমার বাড়িতে একটি কোদালে আমার নাম লিপিবদ্ধ করে দুই ভাই সহ হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে আমি সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি এবং বতর্মান মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ আলমাছ মিয়া জানায় সাবেক সভাপতি আমানুল্লাহর কাছ থেকে আমরা সকলে হিসাব নিকাশ বুঝিয়া পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট এবং যে মিজান অভিযোগ করেন তিনি মসজিদ কমিটির কোনো সদস্য নয়।
এ নিয়ে একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কিছু স্থানীয় কয়েকটি অনলাইন ও পএিকার আমার বিরুদ্ধে মানহানীরসংবাদ প্রকাশ হওয়ার আমার ব্যবসার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। যা সম্পুর্ন বানোয়াট ভিত্তিহীন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাই আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করি যাতে সুস্হ ভাবে তদন্ত সাপেক্ষে এর ব্যবস্হা নেওয়া হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ আলমাছ মিয়া, সহ সভাপতি মোঃ শাহজাহান ভুঁইয়া , আরোও উপস্থিত ছিলেন মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ আমির আলী, মোঃ জামান ভুঁইয়া, মোঃ সালাম, মোঃ নুরে আলম, কবির হোসেন,মোঃ অহিদুল্লাহ মোঃ হোসেন আলী, কবির,ইমরান হোসেন, মোস্তফা, মোঃ রতন, সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
আপনার মতামত কমেন্টস করুন